অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ চিহ্নিতকরণ সহজ করতে ওষুধের প্যাকেট বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এখন থেকে সব অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের প্যাকেটে লাল চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিটিউক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ মে) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা (সিডিসি) আয়োজিত বাংলাদেশে চলমান অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেসিস্ট্যান্সের পরিস্থিতি ও এএমইউ ট্রেন্ডস শীর্ষক অনুষ্ঠানে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক এস এম সাবরিনা ইয়াছমিন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ফার্মেসী থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে সেবনের প্রবণতা। অসুস্থ হলেই ফার্মেসী থেকে সাধারণ মানুষ ওষুধ কিনে খান। দেশের ৮টি বিভাগের ৪২৭টি ফার্মেসী জরিপ চালিয়ে আমরা দেখেছি, ৬৭ দশমিক ৩ শতাংশ ফার্মেসী কর্মী অ্যান্টিবায়োটিক সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন না। এছাড়া তারা সহজে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ চিনতেও পারেন না।’
তিনি জানান, এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কোনটি অ্যান্টিবায়োটিক আর কোনটি অ্যান্টিবায়োটিক নয়, তা স্পষ্ট করার জন্য মোড়কে লাল রং ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সাবরিনা ইয়াসমিন আরও বলেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এ সিদ্ধান্ত ওষুধশিল্পের মালিকেরা মেনে নিয়েছেন। এখন থেকে অ্যান্টিবায়োটিকের মোড়কে লাল রং থাকবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা, রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর), ফ্লেমিং ফান্ড, ইউকেএইড যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।